শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

News Headline :
ভারতে চিকিৎসা সেবায় সুযোগ সুবিধা প্রদানে যৌথ সভা  অবৈধভাবে চাল মজুদ রাখার অভিযােগে আবারো মিল মালিককে জরিমানা উন্নত মানের কম্বল পেয়ে খুশি দরিদ্র মানুষেরা এক হাজার দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র প্রদান করলেন বিজিএমিইএ’র সভাপতি প্রশাসনে বদলীর নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ের চার ওসি, দুই ইউএনও জনপ্রিয় নেতা আলী আসলাম জুয়েলকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেতে মড়িয়া ভোটাররা তারেক পাকিস্তান থেকে লোক পাঠিয়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শান্তি সমাবেশে -যুবলীগ নেতা জুয়েল ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পেইন টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ সাংবাদিক আইনুলের লজ্জা থাকলে আ’লীগে যোগ দিন বিএনপির উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা-আলী আসলাম জুয়েল

সচেতনতা বৃদ্ধিতে মফস্বল সাংবাদিকরা তবুও কতটুকু সচেতন মানুষ

সবাই বলেন সাংবাদিকতা পেশা একটি মহান পেশা। এ পেশায় তাদের দায়ীত্ববোধও অনেক বেশি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে যেমন রাস্ট্রের গতিপথকে চলতে সহায়তা করে। তেমনি আইনশৃংখলা বাহীনির নজরে এনে তা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও সহায়তার পথ উন্মোচন করে। এছাড়া মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করা গুরুত্ববহন করে। এছাড়া সমাজের নানা অসঙ্গতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের ভুমিকা তুলে ধরার মাধ্যমেও দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। কিন্তু অন্যান্য সময়ের চেয়ে দেশে করোনার ভাইরাস সংক্রামনের শুরু থেকেই মফস্বলের সংবাদকর্মীদের এ পেশায় বড় চ্যালেন্স হয়ে দাড়িয়েছে। তার কারন হচ্ছে একজন মফস্বল গণমাধ্যমকর্মীকে জেলার সব ধরনের সংবাদ পরিবেশনের তথ্য উপাত্ত্ব সংগ্রহ করতে হয়। যেমন খেলাখুলা, রাজনীতি, হাটবাজার, সামাজিক পেক্ষাপটসহ সমাজে যে কোন ঘটনা ঘটলে একজন মফস্বল সংবাদকর্মীকেই তা তুলে ধরতে হয়।
আমরা যতদুর জানি আমাদেরই সহকর্মী রাজধানী ঢাকায় যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন তারা একজন একটি বিষয় নিয়েই কাজ করেন। যেমন প্রতিষ্ঠান থেকেই একজন সংবাদকর্মীকে দায়িত্ব দেয়া হয় রাজনীতি নিয়ে, অন্যজন্যকে খেলাখুলা নিয়ে, অপরজনকে নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু মফস্বল সংবাদকর্মীদের বিষয়ে একদম আলাদা, একজন সংবাদকর্মীই সবকাজ করবেন। তুলে ধরবেন জেলার কর্মকান্ড ও প্রতিটি ঘটনা।
আর জেলায় টেলিভিশনে যারা চাকুরি করেন তাদের সবচেয়ে বেগ পেতে হয়। টেলিভিশনের খোরাক হিসেবে প্রতিটি মানুষের কাছে গিয়ে তার বক্তব্য সংগ্রহ করতে হয়। তবে না বললেই নয় বর্তমানে এর কিছুটা অবসান ঘটেছে সরকারে তথ্য প্রযুক্তি আমাদের অনেকটাই মানুষের কাছাকাছি করে দিয়েছে। যা করোনা পরিস্থিতে আমাদের অনেক কাজে এসেছে। এখন বক্তব্য নিতে তেমন ছুটতে হচ্ছে না। যদি তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে কিছুটা পারদর্শী হন। তাহলে প্রয়োজনে ওই ব্যাক্তির বক্তব্য নেয়া অনেকটাই সহজ। হতে পারে হোয়াস্টস এ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইমো থেকে ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে বক্তব্য সংগ্রহ করা। কিন্তু ফিজুয়ালের ক্ষেত্রে পথে প্রান্তরেই ঝুটতে হচ্ছে ভাল ছবির জন্য। তবে এক্ষেত্রেও কিছুটা সম্ভব হচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় তা করা যায়। তবে ছবি নেয়ার ক্ষেত্রে তা পরিপুর্ন হয় না। এছাড়া টেলিভিশনে জেলায় একজন সংবাদকর্মীকেই তার পুরো জেলার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়।
প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে মফস্বল গণমাধ্যমকর্মীদের একই অবস্থা সব বিষয়েই তুলে ধরতে হয় তাদের। তবে তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপজেলায় একজন করে প্রতিনিধি থাকে। এছাড়া ফোনের মাধ্যমে অনেকাংশেই সংবাদ সংগ্রহ সম্পর্ন হয়।
করোনাকালিন সময়েও জেলার মফস্বল গনমাধ্যমকর্মীদের সংগ্রহিত তথ্য তুলে ধরছে মিডিয়াতে। এতো কিছুর পরেও করোনা মোকাবেলায় মানুষ কি সচেতন। আমরা যা দেখছি বিশেষ করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজার, চায়ের দোকানে এখনো প্রাণ খুলে আড্ডায় মেতেছে প্রতিনিয়ত। নেই মাস্ক মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধির ছিটেফুটেও। ফলে ক্রমান্বয়ে দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর এসব খবরের সন্ধানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে চলছেন মফস্বলের গণমাধ্যমকর্মীরা। তবুও কতটুকু সচেতন মানুষ এসব যেন ভাবিয়ে তুলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
আমরা অদৃশ্য ভাবনার মধ্যে রয়েছে সবাই। করোনা মোকাবেলায় আরো কতদিন ঝুঁকিতে থাকতে হবে। তবুও মফস্বল সংবাদকর্মীরা ছুটছে খবরের সন্ধানে। দেশের পরিস্থিতি আপনাদের জানতে। প্লিজ আপনারা সরকারের নির্দশনা মেনে চলুন। বেচেঁ থাকলে জীবনে অনেক কিছুই করা সম্ভব হবে।

জিয়াউর রহমান বকুল, গণমাধ্যমকর্মী।

Please Share This Post in Your Social Media

© News Net 24 BD All rights reserved 2019
Design & Developed BY Hostitbd.Com